যদি আগের পাতা দুটির বক্তব্য না পড়ে থেকে থাকেন তবে অবশ্যই আগে সেটা পড়ে নিন। নইলে এই পাতার কথাগুলি খাপছাড়া লাগতে পারে। ১ম পাতা । ২য় পাতা
আসুন খোদ শিশুর মুখেই শোনা যাক, ওরা কিভাবে খেতে ভালোবাসে ও কেন এবং ওরা সেটার কি সমাধান দেয়?
হঠাৎ হয়তো বলে বসলো ডিমভাজি দিয়ে ভাত খাবেনা। তো, চেষ্টা করে দেখুন বরাবর যেভাবে ডিমভাজি করেন সেভাবে না করে একটু ভিন্ন করে ভেজে বাচ্চাকে দেখান, দেখবেন হয়তো আরো অধিক মজা করে খাবে। যেমন:
কিংবা ফল খেতে চাইছেনা, এভাবে পরিবেশন করলে হয়তো পুরোটাই খাবে।
পাঠক, আমার কাছে আরো অনেক ছবি ছিলো নানা রকমের খাবার পরিবেশনের যা আমরা করেছিলাম আমাদের সন্তানদের সাথে। এতো ছবির ভিড়ে অনেকগুলোই খুঁজে পাচ্ছিনা।
এছাড়াও আপনার বাচ্চাকে খাবার দাবার সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে অংশগ্রহন করাবেন। যেমন:
রুটি বানানো খেলছে।
সব সময়তো আংগুর এমনি এমনি খায়। তো, আংগুর চিপে রস বের করেও যে রস খাওয়া যায় সেটা দেখানো যেতে পারে। তবে এই কাজটি বারে বারে করলে বদঅভ্যেস হয়ে যাবে। যেমন আমি এই কাজটি ১ বার কি দুবার করেছি শুধুই একটু বৈচিত্র আনাবার জন্য বা ওদেরকে মজা দেবার জন্য।
বাসায় পিঠা বানাবার সময় ওদেরকে অংশগ্রহন করাতে পারেন।
মেহমান আসবে বলে হয়তো অনেক কিছুই বানাবেন। সেই কাজ আপনার সন্তানের সাহায্য নেবেন। দেখবেন ওরাও মনে করবে ওরা গুরুত্বপূর্ণ মানুষ আর ঘরের কাজে সাহায্যও করতে পারে। যেমন এখানে ওরা দুজন চটপটি বানাতে সাহায্য করছে। যখন মেহমান খাবে, তখন বলতে ভুলবেন না যে, আপনার বাচ্চারা ওটা বানিয়েছে বা বানাতে সাহায্য করেছে। দেখবেন অনেক motivation পাবে। 🙂
ওদেরকে দিয়ে ওদের পছন্দের ফল গুছিয়ে নিন, সাজিয়ে নিন। যেমন আমি ওদেরকে দিয়ে আম গুছিয়ে নিচ্ছি। আবার ওদের পছন্দের কাঁঠাল ওরাই ভেংগে খাচ্ছে। এমনকি শুকনা কাঁঠালের বিচির খোসাও ছাড়াচ্ছে।
বা বাজার ঘাট করার পর শাক-সব্জীও গুছাতে ওদের সাহায্য নিতে পারেন।
আমাদের বাচ্চারা দোকান থেকে আইসক্রীম কিনে খায়। কিন্তু বাসাতেও বানিয়ে দেয়া যেতে পারে। মজা না হলেও ওদেরকে মজা করেই খেতে দেখেছি।
এমনটি খাবার টেবিল সাজাতেও ওদের সাহায্য নিতে পারেন। যদি সাহস দেন আর একটু পাশে থাকেন, তবে দেখবেন সুন্দর করে সাজটা শেষ করবে ওরা। যেমন দেখুন এই টেবিলটা আমার মেয়েদুটি সাজিয়েছে।
হয়তো বলবেন, আমার সন্তানদুটি মেয়ে তাই হয়তো এভাবে খাবার দাবারের প্রতি ওদের Involvement করাতে পেরেছি। জানিনা আমার পুত্র সন্তান হলে এভাবে পারতাম কিনা, তবে চেষ্টা অবশ্যই করতাম আর আমার মনে হয় বিষয়টি সম্ভব হতো। অধিকটাই নির্ভর করছে পরিবারে বিভিন্ন কাজকর্মকে বাসার বড়রা কিভাবে দেখছে।
সন্তান লালন পালেন যাদের ধৈর্য্য আরো একটু বেশী, তারা চাইলে পরের পাতা পড়তে পারেন।
১ম পাতা । ২য় পাতা । ৩য় পাতা । ৪র্থ পাতা
আপনার সন্তানকে নিয়ে কোন প্রশ্ন থাকলে এখানে ক্লিক্ করে প্রশ্ন করতে পারেন।
এই সাইটে প্রকাশ পাওয়া আমার লেখা/প্রকাশনা অন্য কোথাও ছাপবার আগে পূর্ব অনুমুতি নিতে হবে। ছবি ও ভিডিও আমার বাচ্চাদের।
what a sweet conversation,really surprised,and i promised from tomorrow i maintain a regular routine for my baby
আমার পিচ্চী ভিডিওটা দেখতে দেখতে একটা কলা খেয়েছে এই মাত্র,নিজের হাতে। রামিসাদেরকে বলে দিয়েন
এই মাত্র বললাম ওদেরকে, ওরাতো খুবি খুশী কথাটা শুনে। 🙂
apnar onumoti chharai youtube theke video-ti download kore save kore nilam….. aar video-ti na dekhle apnar blog-er lekhagulo hoyto kono din-e pora hoto na….. apnake oshonkho dhonnobad aar baccha duti-r jonno ador….. asha kori erokom aaro onek bishoy niye lekha chaliye jaben….
কোন সমস্যা নেই ডাউনলোড করেছেন বলে। শুধু এডিট করে আবার শেয়ার না করলেই হবে। (আশা করি বুঝতে পেরেছেন কেন কথাটা বললাম) 🙂
ব্লগের লেখা পড়ছেন জেনে খুশী হলাম। পরিচিতদের সাথে শেয়ার করবেন আর আশা করছি আপনিও বিভিন্ন সময় মন্তব্য ও পরামর্শ দিয়ে সফল করবেন এই প্রচেষ্টা। ধন্যবাদ আপনাকেও।
আপনি একটা অভিনব কাজ করেছেন শিব্লী ভাই! ভিডিও টা দারুন হয়েছে । পড়ে পড়ে অভিভাবকরা যতনা motivated হবেন ,তার চেয়ে এই ভিডিও দেখে মনেহয় বেশী motivated হবে। আমি শিওর , অনেক বাচ্চাই এই ভিডিও দেখে দেখেই অনেক খাবার খেয়ে ফেলবে। আর একটা জিনিষ লক্ষণীয়, এই ভিডিও শুধু বাচ্চাদের খাওয়া নিয়েই ম্যাসেজ দিচ্ছেনা , আরও অনেক ম্যাসেজ দিচ্ছে যা সচেতন অভিভাবকদের সহজেই নজর কাড়বে। ধন্যবাদ আপনাকে।
intellectual….
অনেক সুন্দর| বাচ্চাদের জন্য অনেক দোয়া থাকলো| বাচ্চারা যে এতধিক সুন্দর করে চিন্তা করতে পারে আগে ভাবিনি|
Today Just give couple of big hugs and sweet kisses to those angels………….will write a good response soon.
I’ll let them know that you sent sweet kisses and hugs. 🙂
শিবলী ভাই আপনার ব্লগটি পড়ে আমার কেন জানি একটু হিংসে হচ্ছে!!! আজ দু-মাস যাবত নেট ঘাটছিলাম শিশুদের বেড়ে ওঠার বিভিন্ন টিপস পেতে, আমার ২ বছর ৩ মাস বয়সি ভাগ্নির জন্য। অনেকগুলো জড়ো করেছিও আর কিচ্ছু নিজের অভিজ্ঞতা থেকে নিয়েছি। ভাল সংগ্রহ হয়েছে। পিডিএম, ওয়ার্ড আর্টিকেল, ভিডিও, পডকাষ্ট অনেক। সেগুলো কম্পাইল করছিলাম কিন্তু এখনো গুছিয়ে ওঠতে পারি নি।
আমি জানি না আজ হঠাত আপনার ব্লগটি কিভাবে খুজে পেলাম। অসাধারন কাজ করেছেন। অনেক গোছানো এবং ১০০% কার্যকরী। আপনি যথেষ্ঠ পরিশ্রম করেছে বুঝাই যাচ্ছে। চালিয়ে যান ভাইয়া। ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকেও যে, আপনি প্রয়োজনে খুঁজেত খূঁজতে এটা পেয়ে গেছেন এবং উপকারী মনে করছেন। ভালো কথা, এই ব্লগে সাধারনত আমি আমার ক্নন্টেন্ট পাবলিশ করি, আপনি যদি বিভিন্ন অভিভাবকগনের প্রতিদিনের নানা সমস্যার বিষয়ে অবগত হতে চান তবে https://www.facebook.com/groups/shishu.lalon.palon গ্রুপে যোগ দিতে পারেন। আশা করি আশাহত হবেন না। 🙂